এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও
প্রবল বর্ষণের কারণে সদরের ঈদগাহ হাই স্কুলের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সময়সুচি জানেয়ে দেয়া হবে বলে জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বুধবার সকাল থেকে ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলের পানিতে দ্বিতীয় বারের মতো ডুবলো দক্ষিণ চট্টলার বৃহৎ বানিজ্যিক উপশহর ঈদগাঁও বাজার। এতে করে এ বাজারের ব্যবসায়ীরা বিকেলের দিক হতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িমুখী হচ্ছে।
সকাল থেকে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত আর দুপুরের দিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে গেল দু’দিনের ব্যবধানে আবারো ডুবলো ঈদগাঁও বাজারের প্রধান ডিসি সড়ক সহ অলিগলি। এমনকি এসব অলিগলিতে হাটু পরিমাণ পানিতে সয়লাব। পাশাপাশি ডিসি সড়ক জুড়েই ঢলের পানির কারণে ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবি, কর্মজীবি সহ সর্বশ্রেণি পেশার মানুষজন চলাচলে নিদারুন কষ্ট পোহাচ্ছে। সে সাথে দূর্ভোগ আর দূর্গতি যেন প্রতিনিয়ত লক্ষনীয়।
ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও বাজারের প্রধান চলাচলের সড়ক ছাড়াও তরিতরকারী ও মাছ বাজার, জুয়েলারী সড়ক, চাউল বাজার সড়ক, হাসপাতাল সড়ক, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, মসজিদ সড়ক, বাজারের পশ্চিম গলি, সুপারী গলি, জাগির পাড়া সড়ক, বাঁশঘাটা সড়ক জুড়েই ঢলের পানিতে প্লাবিত। চলাফেরার কোন সুযোগই নেই বললেই চলে। প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সারতে অতি কষ্টের বিনিময়ে হাটু পরিমান পানি পেরিয়ে আসতে হয়। এদিকে প্রধান সড়কের পাশ ঘেষে ফুলেশ্বরী নদী কিংবা ঈদগাঁও নদী হওয়ার ফলে প্রচন্ড বৃষ্টিপাতে বৃষ্টি বা পাহাড়ী ঢলের পানি বাজারের দিকে চলে আসে। পাশাপাশি সদরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ পানিতে পরিপূর্ণ। যার ফলে অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষার প্রথম পরীক্ষা স্থগিত করেছেন বলে জানান অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোজাম্মেল হক। আবার পুরো বাজার এলাকায় সড়ক উপসড়ক জুড়েই পানিবন্দি হওয়ায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করে মালামালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সে সাথে অনেক সু-চতুর ব্যবসায়ীরা ঢলের পানি থেকে মুক্তি পেতে বালির বস্তা, ইট আর সিমেন্ট দিয়ে দেওয়াল নির্মাণ সহ তক্তা দিয়ে পানি ঠেকানোর চেষ্টা করেও কোন ভাবেই সম্ভব হয়নি। তাই অনেকে দুপুরের পর থেকে নিজ নিজ গন্তব্যমুখী হতেও দেখা যায়। এব্যাপারে বাজার এলাকার একাধিক জনের মুখে সুভা পাচ্ছে যে, এধরণের পানি আর কখনো চোখে পড়েনি ঈদগাঁও বাজারে। তবে সচেতন মহলের মতে, সুষ্টু ড্রেনেস ব্যবসা না থাকায় চলতি বর্ষা মৌসুমে এহেন অবস্থার সৃষ্টি বলে জানান।